সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩১ অপরাহ্ন
কলাপাড়া(কুয়াকাটা) উপজেলা প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলে রয়েছে অসংখ্য নদী, খাল, বিল ও সমুদ্র । আর এ অঞ্চলে খাস জমির পরিমাণও অনেক বেশী। এসকল খাস জমি দূর্নীতিবাজ ব্যক্তিরা কতিপয় অসাধু ভূমি কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজশে নামে বে-নামে জনপ্রতি ৫০শতাংশ, এক একর, দেড় একর করে জমি বন্দোবস্ত নিয়েছে। অপর দিকে ওই সকল অসাধু ব্যক্তিরা নামে বে-নামের খাস জমি সরকারের আইনের তোয়াক্কা না করে গোপন চুক্তিতে রেজিষ্ট্রিবিহীন কথিত বাংলা দলিলের মাধ্যমে সরকারের শর্ত ভঙ্গ করে অন্যত্র জমি বিক্রি করে হস্তান্তর করেন।
ফলে শত শত প্রকৃত হতদরিদ্র পরিবার বন্দোবস্তের আওতায় আসতে পারেনী তদবিরের মানুষ না থাকার কারণে। একটি কুচক্রি মহল কতিপয় অসাধু ভূমি কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজশে সচ্ছল পরিবারের ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরাই এসব জমির মালিক হয়েছেন। আর প্রশাসনের পক্ষ থেকে সঠিক তদারকী বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না থাকায় এসব চলছে বীর দাপটে। খাস জমি বন্দোবস্ত বিষয় নীতিমালায় নারীদের জন্য ছিলনা ভালো কোন সুবিধাজনক পরিকল্পনা। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে বঞ্চিতের কাতারে নারীরাই শীর্ষে।
দেখাগেছে, দরিদ্র শ্রেণির নারীর জায়গায় বন্দোবস্ত পেয়েছে কর্মক্ষম পুরুষ এবং তার স্ত্রী। ক্ষমতাশীলদের ভয় অনেক পরিবার প্রধান নারী ভুক্তভোগী হয়েও নাম প্রকাশ করতে পারছেনা। একজন নারী মালিকের জমি বা বসত বাড়ি সংলগ্ন খাস জমিটুকু নিজেদের নামে বন্দোবস্তের আবেদনের সাহসই করেনী দখল সংক্রান্ত সহিংসতার কারেণে। অথচ একজন নারী প্রধান পরিবারের জমি বা বসত বাড়ির মধ্যের খাস জমিটুকু অনায়াসে বন্দোবস্ত নিয়ে জোরপূর্বক দখল করে নিয়ে যায় ক্ষমতাশালীরা। যার ফলে ক্ষমতাশীলদের রোশানলে ওইসব নারী প্রধান পরিবারের য়াতায়াত, পানিনিষ্কাশন, আয়বর্ধক কর্মকান্ডে বাঁধার সম্মুখিন হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যেকারণে হয়রানীর শিকার হচ্ছে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নারী সমাজ।
এক নুসরাতকে আগুন দিয়ে পোড়ানোর দৃশ্য সকলেই দেখেছে। কিন্তু আবাসন সমস্যায় যেসব অসহায় নারীরা ভুগছেন তাদের মনের আগুন কোন সরকারই দেখছেন না। ভুমি দস্যু ওই সমস্ত বন্দোবস্তওয়ালা পরিবারের কাছে অসহায় নারীরা দীর্ঘদিন যাবত জিম্মি হয়ে আছে। পরিবার প্রধান নারীর জান, মাল, ইজ্জতের নিরাপত্তা যেখানে নেই সেখানে বসবাস করা কত কঠিন, ভুক্তভোগী ছাড়া বোঝার কেউ নেই। সরকারের প্রয়োজনে বিগত দিন থেকে অনেক নারী প্রধান পরিবারের ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত নারী, সমাজ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে তাদের মালিকানাধীন জমি দানের পর সংশ্লিষ্ট দাগ, খতিয়ানে সামান্য জমি থাকলে বসত বাড়ির নিরাপত্তার স্বার্থে বন্দোবস্ত খাস জমিটুকু স্বল্প পরিমাণে হলেও ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সমন্বয়ের ব্যবস্থা করা উচিৎ।
তাহলে ভুক্তভোগী নারীরা দখলকারীদের দীর্ঘদিনের হয়রানী থেকে রক্ষা পাবে। সেক্ষেত্রে নারীদের সুখি সমৃদ্ধি সম্মানজনক জীবন যাপনের জন্য নিরাপদ আবাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
বর্তমান সরকার নারী বান্ধব সরকার, পদ্মা সেতু নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো অত্যান্ত প্রশংসনীয়। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যা বাংলাদেশের লৌহ মানবীর কাছে নারীর নিরাপদ আবাসনের দাবী প্রাণের দাবী।
Leave a Reply